Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

জেলা প্রশাসনের পটভূমি

১৮০৭ সালে মিঃ বেটি বরিশালের জজ-ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে আসেন। দক্ষিণাঞ্চলের সুন্দরবন কেটে বসত বৃদ্ধি পাওয়ায় বেটির শাসন আমলেই ১৮১২ সালে পটুয়াখালীকে নিয়ে গঠন করা হয় মির্জাগঞ্জ থানা। পরবর্তীতে দেওয়ানী শাসন প্রসারের জন্য ১৮১৭ সালে বরিশালে ৪টি পৃথক মুন্সেফী চৌকি স্থাপন করা হয় । এগুলো হল বাউফল, কাউখালী, মেহেন্দিগঞ্জ ও কোটের হাট চৌকি। বাউফল চৌকির প্রথম মুন্সেফ ছিলেন ব্রজ মোহন দত্ত। পরবর্তীতে ১৮৬০ সালের পহেলা জুন বাউফল থেকে চৌকি স্থানান্তর করা হয় লাউকাঠীতে। জমিদার হূদয় শংকরের পুত্র কালিকা প্রসাদ রায়ের নামানুসারে লাউকাঠীর দক্ষিণ পাড়ের নাম করা হয় কালিকাপুর। এখানেই গড়ে ওঠে শহর। মহকুমা সদর অফিস স্থাপিত হয় কালীবাড়ি পুকুরের পূর্ব পাড়ে।


এসময় ব্রজ মোহন দত্ত পটুয়াখালীকে নতুন মহকুমা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন। ১৮৬৭ সালের ২৭ মার্চ কলিকাতা গেজেটে পটুয়াখালী মহকুমা সৃষ্টির ঘোষণা প্রকাশিত হয় এবং ১৮৭১ সালে পটুয়াখালী মহকুমায় রূপান্তরিত হয়। নতুন মহকুমার নাম হয় পটুয়াখালী। তখন ব্রজ মোহন দত্ত মুন্সেফ ও ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট দুই পদেই অধিষ্ঠিত হন। এরই ১০০ বছর পর ১৯৬৯ সালে ইতিহাসে সংযোজিত হল দেশের সাগর বিধৌত নতুন এক জেলা পটুয়াখালী। ১৯৬৯ সনের পহেলা জানুয়ারি খুলনা বিভাগের তৎকালীন কমিশনার জেলা প্রশাসকের দরবার হলে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। একই বছরের ৯ মার্চ পটুয়াখালী জেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ভাইস এডমিরাল এস. এম আহসান। পটুয়াখালীর প্রথম জেলা প্রশাসক ছিলেন হাবিবুল ইসলাম।